,

বানিয়াচংয়ের কুমড়ী দুরগাহপুর বাজারের ব্রীজ যেন মরণ ফাঁদ

স্টাফ রিপোর্টার :  সেই ১৯৯৪ সালে নির্মিত হয় কুমড়ী বাজার ও ফেরেঙ্গিটিলা গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের মধ্যে একটি ব্রীজ। ব্রীজ তৈরী হওয়ার পর একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল গ্রামবাসী এই বুঝি আমাদের দুঃখ দুর্দশা শেষ হল। কিন্তু না ব্রীজ তৈরী হওয়ার পর ২৬ টি বছর চলে গেলেও ব্রীজের দুদিকে মাঠি ভরাট করে সংযোগ সড়ক করা হলনা। দুদিকে বাশের সাঁকো তৈরী করে মানুষ ব্রীজ পারাপার হত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে এই ব্রীজটি আস্তে আস্তে ভেঙ্গে পড়ছে। ছাদ ভেঙ্গে ছানখান হয়ে গেছে পিলারগুলো ক্ষয় হয়ে গেছে। বাঁশ দিয়ে জোরাতালি দিয়ে চলছে ভুক্তভোগী মানুষজন।এই ব্রীজটির এমন নড়বড়ে অবস্থা হয়েছে উপরে উঠলে মনে হয় যেন ভূকম্পন শুরু হয়েছে। তাছাড়া নীচ দিয়ে যখন লোকজন পারাপার হন তখনও ভয়ে থাকেন কখন জানি ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে তাই নীচের দিকে চেয়ে না হেটে উপরের দিকে চেয়ে হাটেন। এটা এখন ব্রীজ নয় মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভেঙ্গে পড়তে পারে যে কোন সময়। ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। প্রাণখানীও হতে পারে এই পরিত্যক্ত ব্রীজটির কারনে। শুকনো মৌসুমে ব্রীজের নীচ দিয়ে এবং বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে এই পথে অত্র বানিয়াচং ১৫ নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ী, দুরগাহপুর, নজরপুর, ফেরেঙিটিলা, নীলপুর ও অষ্টগ্রাম উপজেলার কদমচাল, খয়েরপুর, মনোহরপুর, জিন্নতপুর, চানপুর
মিটামইন উপজেলার বিশোরীকোনা, হেমন্তগঞ্জের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে।
ব্রীজটি তৈরী হওয়ার শুরু থেকে আজ অবধি ওই এলাকার মানুষগুলো ইচ্ছে থাকলেও শান্তিতে চলাচল করতে পারেনি।কোন যানবাহন নিয়ে এলাকায় যেতে পারেনি বললেই চলে।অসুস্থ লোকদের হাসপাতালে নিতে এবং বয়স্ক লোকদের পারাপার করতে সীমাহীন বেগ পোহাতে হয়।সীমাহীন ভোগান্তিতে থাকা মানুষগুলো একটু স্বস্তি চান। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষগুলো এই ডিজিটাল যোগে পরিপূর্ণ যোগাযোগের আওতায় আসতে কর্তৃপক্ষ তথা জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করেন। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে থাকা এই পরিত্যক্ত ব্রীজটি বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটার পূর্বে ভেঙ্গে নতুন একটি ব্রীজ তৈরী করে দিয়ে এলাকাবাসীর দুঃখ লাগব করে দেওয়া।

অত্র এলাকার বাসিন্দা এড. আনসারী বলেন আলোচনা সমালোচনা প্রতিনিয়তই হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় নিউজও ছাপা হয়েছে। গতবছর নিউজ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কিছুটা টনক নড়েছিল, ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজ নির্মাণের কিছুটা আশ্বাসও পেয়েছিলাম। কিন্তু বছর পার হয়ে গেলেও আজও ব্রীজটি বিনির্মাণের কোনো দৃশ্যমান আলামত দেখছি না, শুধু আশ্বাসের সুমধুর বাণীই শুনে যাচ্ছি!
এলাকাবাসীর বক্তব্য বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের জননন্দিত ভাইস চেয়ারম্যান
ফারুক আমীন আমাদের এলাকার গর্ব আমরা আশা করি তিনি অতিব জরুরী এই বিষয়টি অতি দ্রুত মাননীয় এমপি মহোদয়ের কাছে তুলে ধরবেন। আমাদের আশা নয় বিশ্বাস, এমপি মহোদয়ের কাছে জোরালো ভাবে দাবীটি তুলে ধরলে উনি দ্রুত এক‌টি পদক্ষেপ নিবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর